নুরুজ্জামান লিটন|জেলা প্রতিনিধি নওগাঁঃ নওগাঁর রাণীনগরে ডায়রিয়া রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই আসছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীরা। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিয়নে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শয্যা স্বল্পতার কারণে মেঝেতে রেখে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বয়স্ক রোগীদের পাশাপাশি শিশুরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হঠাৎ করেই ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগের প্রাদুর্ভাব চরম আকারে দেখা দিয়েছে। যার কারণে ৫০শয্যার হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়েই মেঝেতে শয্যা করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গত ১ মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্তত ২ শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি করা হয়েছে।
আরো শতাধিক রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। শয্যা ছাড়া হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণ ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণ রয়েছে। যার কারণে ভর্তি হওয়া রোগীদের বাহির থেকে তেমন একটা ওষুধ কিনতে হচ্ছে না।
ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত আতাইকুলা গ্রামের রহিমা বিবি (৭০) জানান ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু শয্যা না থাকার কারণে মেঝেতে শয্যা করে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কেএইচএম ইফতেখারুল আলম খাঁন (অংকুর) বলেন, প্রত্যেক ডায়রিয়া রোগীকে ১৮-২০ হাজার এমএল স্যালাইন দেওয়া লাগছে। ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত অন্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া ও পেটে ব্যাথা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।
বেড না থাকায় হাসপাতালের মেঝেতে রোগীরা বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্যালাইনসহ অন্যান্য ওষুধ সংকটের বিষয়ে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। শিশুদের আলাদা কর্ণারে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।